পেটের মেদ এবং ওজন কমানোর উপায়

 

সাধারণ ভাবে বাঙালিদের ভুঁড়ি থাকাটাই যেন আদি চিরন্তন একটা প্রতীক হয়ে উঠেছে। ওজন কমানোর উপায়, জানতে হবে  কিন্তু এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভুঁড়ি থাকাটা যেন হাঁসির খোরাক। এছাড়া স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি মোটা হলে তো স্কুল,কলেজ, অফিস ,কাজের জায়গা, বন্ধু/বান্ধব, আত্মীয়রা উপাধি দিয়ে দেয় হাতি, জলহস্তী আরো কতকিছু। তাই আমরা ভুঁড়ি বা ওজন কমানোর জন্য জিম,ডায়েট করি কিন্তু কাজ হতে একটু সময় লাগে ফলে আমরা ডিপ্রেশান চলে যায়, এই পেটের মেদ কমানোর উপায়, এর জন্য ওজন কমানোর উপায়, জানার আগে আসুন আমরা জেনে নি ভুঁড়ি /চর্বি বাড়ার কিছু স্বাভাবিক/অস্বাভাবিক কারণ -

পেটের মেদ এবং ওজন কমানোর উপায়

ways to lose fat



ভুঁড়ি হওয়ার  কারন 

. অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া।

. চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া।

. অনেক্ষন না খেয়ে থাকা বা একবেলা না খেয়ে থাকা। 

. আনমনে খাবার খাওয়া যেমন -টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া।  এতে আমরা খাবারের পরিমান বুঝতে না পেরে বেশি খেয়ে ফেলি। যা আমাদের মেদ বাড়াতে সাহায্য করে।

. অতিরিক্ত ক্যালোরি,কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার খাওয়া।

. মুখরোচক তেলেভাজা খাওয়া।

. মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আমাদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের বৃদ্ধি হয়। যা আমাদের চিনি অথবা ক্রিম যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। আর আমরা চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। অথচ চিনিতে অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকে যা ভুঁড়ি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া কর্টিসল হরমোনের প্রভাবে শরীরে অন্য জায়গার থেকে পেটে মেদ  জমাতে প্রচুর পরিমানে সাহায্য করে। একে বলা হয় Central Adiposity এর প্রভাবে আমাদের শরীরে লেপ্টিন নামক হরমোন কমে যায়। যা আমাদের ভরা পেট অনুভব কমিয়ে দেয়।

আমাদের অন্যান্য পোস্ট 

. বেশি রাত জাগলে আমাদের কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছা করে এর ফলে আমরা খাই এবং আমাদের ভুঁড়ি /মেদ বেড়ে যায়।

. চিবিয়ে না খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের সমস্যা হয় যার ফলে আমাদের ভুঁড়ি বেড়ে যায়।

১০. তাড়াহুড়ো করে খাওয়া। এর ফলে আমরা খাবারের পরিমান, ধরণ (রিচ বা সাধারণ ) বুঝতে পারি না। এতে করে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

১১. বেশি আলু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেড এর বেড়ে যায় এর ফলে আমরা মোটা  যাই।

১২. বেশি শুয়ে বসে থাকার ফলে চর্বি গলে না এর ফলে আমাদের পেটের মেদ বাড়তে থাকে।

ওজন কমানোর উপায়, পেটের মেদ কমানোর উপায় 

উপরের এই কারণ গুলি আমাদের শরীরে মেদ জমতে বিশেষ ভাবে  সাহায্য করে। আপনার যদি ভুঁড়ি কমানোর ইচ্ছা থাকে  এবং এই অভ্যাস গুলি থেকে থাকে তাহলে তাহলে তাড়াতাড়ি এই অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।  এবার আসুন দেখে নিন মেদ বা ভুঁড়ি কমানোর  কিছু কার্যকরী টিপস।

পেটের মেদ এবং ওজন কমানোর উপায়

১. সকালে আপনি নাস্তার আগে হাফ লিটার জল পান করুন  তাহলে নাস্তা খাওয়ার সময় আপনার পেট ভরা লাগবে। এই জন্য আপনি অল্প কিছু খাবেন, আর হ্যাঁ জলে কোনো ক্যালোরি নেই তাই বেশি জল খায়ার ফলে ওজন বাড়ার কোনো আশংকা নেই। যে কোনো সময় খাওয়ার আগে আপনি জল পান করা ওজন কমানোর সহজ উপায়

২. আপনার যদি চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এগুলি চিনি ছাড়া খেতে পারেন আর যদি খেতে না ভালো লাগে তাহলে চিনির বদলে সুগার ফ্রি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ  চিনিতে প্রচুর বাড়তি ক্যালোরি থাকে।

৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ওজন মাপে তারা পেটের মেদ কমানোর উপায়, কারণ নিয়মিত ওজন মাপলে নিজের ওজন বাড়ছে কি কমছে সে বিষয়ে আপনার নজর থাকবে, চেষ্টা করবেন সকালে বাথরুম থেকে এসে ওজন মাপতে। আর প্রতিবার একই ড্রেস পরিধান করে ওজন মাপার চেষ্টা করবেন।

৪. এক গ্লাস পরিমান জলের সাথে এক চামচ আদার পেস্ট নিয়ে হালকা কুসুম গরম করুন এরপর ছেঁকে নিন এবং এতে তিন থেকে চার চামচ লেবুর রস যোগ করুন। নিয়মিত এই জলের মিশ্রণ পান করুন টানা ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়  সকালে খালি পেটে।

৫. তিন চারটি গোল মরিচ গুঁড়ো করে নিয়ে এর সাথে এক চামচ আদা বাটা ও হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে এক গ্লাস জল হাল্কা কুসুম গরম করে এর সাথে ঘেটে নিন নিয়ম করে এই মিশ্রণ টি  দিনে দুইবার করে টানা ২১ দিন পান করুন আপনি নিশ্চিত ফল পাবেন।

৬. লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়,এক গ্লাস উষ্ণ জলের সাথে চার চামচ মধু ও দুই চামচ লেবুর রস যুক্ত করে নিন এই মিশ্রণ টি রাতে ঘুমানোর আগে টানা ১৯ দিন পান করুন দেখবেন আপনার ভুঁড়ি কমে গিয়েছে।

৭. এক চামচ সাদা জিরা, চারটি এলাজ হালকা থেথ করে , পাঁচটি তেজপাতা ভেঙে এর সাথে এক টুকরো দারুচিনি দিন।  এখন এই মিশ্রনে তিন থেকে চার গ্লাস জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানীয় জলটি নিয়ম করে দিনে তিনবার -সকালে খাওয়ার এক ঘন্টা আগে, দুপুরে খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে ও রাতে খাওয়ার ১ ঘন্টা পর গরম গরম খেয়ে নিন নিয়মিত ৩ মাস খেলে আপনার ভুড়ি কমানোর উপায় চর্বি গোলে যাবে।

৮. আপনি একটি রসুনের কোয়া বিনা তেলে শুকনো  খোলায় লাল করে ভেজে নিন। এর পর এক গ্লাস জল ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে এতে এক চামচ কাঁচা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে সকালে বাসি মুখে এই গরম জল সেবনের সাথে সাথে রসুনের সেই কোয়া চিবিয়ে খান।  এভাবে নিয়মিত ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়, দেখবেন আপনার অতিরিক্ত মেদ গোলে যাবে।

৯. এক গ্লাস জল তিন চার মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন এতে একটি লেবু খোসা শুদ্ধ কেটে এই জলে দিন এবং এর সাথে এক চামচ জিরে এক চামচ মধু যুক্ত করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চাপা দিয়ে রেখে দিন , এই মিশ্রণটি দিনে চারবার করে পান করুন ২ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Adsence

Adsence